সেইভ গার্লস ডেস্ক :: বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা ধর্ষকের ভাই, ছেলে ও ইউপি সদস্যর মাধ্যমে সালিশ করে এক লাখ টাকা জরিমানা করে আপস করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ধর্ষিতা শিশুর, মা ও বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
স্থানীয় নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ৩১ মার্চ ভোরে একই বাড়ির ইদ্রিস নামের এক লম্পট শিশুটিকে ঘরে একা পেয়ে শারীরিক নির্যাতন করে অজ্ঞান অবস্থায় ঘরে ফেলে রাখে। শিশুটির মা ও বাবার মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ থাকায় সে দাদীর কাছে থাকতো। ঘটনার সময় দাদী বাড়ির বাহিরে থাকায় সহজেই ধর্ষক পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে শিশুটির দুই ভাই, ধর্ষক ইদ্রিসের ছেলে হাসিব, ইউপি সদস্য কামাল হোসেন ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি সাহাবুদ্দিন, পান্না শিশুটির দাদীকে ঘটনাটি না কাউকে না জানানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করে। ঘটনার পরদিন ধর্ষক ইদ্রিসের ছেলে হাসিব শিশুটিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় জেলা সদর বরগুনায় জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। গতকাল শনিবার রাতে সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংশা করা হয়।
শিশুটির মা পপি আক্তার বলেন, ইদ্রিসের ভাই ও ছেলে হাসিব, ইউপি সদস্য কামাল হোসেন, স্থানীয় পান্না ও সাহাবুদ্দিন আমাকে এ ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য বলে এবং আমি ওই জরিমানার টাকা পেয়ে মেয়ে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে এসেছি।
এ বিষয় বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান মিঞা বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং মেয়ে অভিভাবকদের থানায় এসে অভিযোগ জানাতে বলেছি। তারা থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি এবং অভিযোগ না করলে আমরা আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না।