কর্মক্ষেত্রে কর্মী নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধে দেশীয় নিয়োগদাতাদের পাশাপাশি বিদেশী ক্রেতাদের যুক্ত করতে হবে। এতে ক্রেতারা তাদের নিরীক্ষা কার্যক্রমে নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করবে। এ বিষয়ে সব পক্ষকে আরো সচেতন হতে হবে। সর্বোপরি কর্মক্ষেত্রে হয়রানি ও নির্যাতনের সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হবে। গতকাল রাজধানীতে এক পরামর্শ সভায় আলোচকরা এ অভিমত প্রকাশ করেন।
আগামী সোমবার থেকে অনুষ্ঠেয় ১০৭তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলন (আইএলসি) সামনে রেখে কর্মক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধবিষয়ক এজেন্ডার ওপর পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) ও কেয়ার বাংলাদেশের আয়োজনে এ পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মোস্তান হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য শিরীন আখতার। সঞ্চালনায় ছিলেন বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ। সভায় বক্তব্য রাখেন কেয়ার বাংলাদেশের সহকারী কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রবোধ দেবকাটা।
সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে কেয়ার বাংলাদেশের ডিরেক্টর ওমেন অ্যান্ড গার্লস এম্পাওয়ারমেন্ট হুমায়রা আজীজ বলেন, কর্মক্ষেত্রে হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধে সব খাতের নারী ও পুরুষ কর্মীকে নির্দিষ্টভাবে আইএলওর সনদে থাকতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে সুরক্ষা ব্যবস্থা থেকে অনেকে বাদ পড়ে যেতে পারে। তাছাড়া শ্রম সংগঠনের ভূমিকার বিষয়টি স্পষ্ট থাকা দরকার। বিদেশী ক্রেতাদের দায়দায়িত্বের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
শ্রমিক নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার আসার সময় হয়রানির শিকার হলে ক্ষতিগ্রস্তরা কোথায় যাবে, সেটি নির্দিষ্ট করা দরকার। আক্রান্তকে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু আক্রমণকারীদের ধরা খুব কঠিন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশ হলে আইএলওর অনেক কনভেনশন বাস্তবায়নে অগ্রগতি দেখাতে হবে। নতুন করে হয়রানি ও নির্যাতনবিষয়ক কনভেনশন হলে সেটি বাস্তবায়নে সরকারের দায়িত্বও বাড়বে।
শ্রমিক নেত্রী তাহমিনা বলেন, পোশাক কারখানায় হয়রানি বন্ধ করতে হলে আগে শ্রমিকদের বোঝাতে হবে। তারা হয়রানি ও নির্যাতন পরিষ্কার বোঝেন না।
স্কপের যুগ্ম সমন্বয়কারী শুক্কুর মাহমুদ বলেন, শিল্পপতিরা আইন বুঝতে চান না। তারা আইন মানতেও চান না। – সমকাল